October 28, 2024, 6:28 am
ডেক্স নিউজ – শ্বশুরবাড়িতে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর বাবার বাড়ি ফিরে আসে কণে গত শুক্রবার। মাত্র এগারো দিন আগে ধূমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের । আর ১৩ অক্টোবর শনিবার বিকালেই ঘর ভাঙ্গে নববধূ নূরন্নাহারের । । কণের স্বামী মঞ্ছের আলী ( ৩২ ) শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগমকে (৪০) বিয়ে করে নিয়ে চলে যায়। আর শ্বাশুড়ি মাজেদা এখন মোনছের আলীর ঘরণী হয়ে দিব্যি সংসার করছে তারা। টাঙ্গাইল জেলার , গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটাআটা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে ।
জানা গেছে , ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র মোনছের আলী গত ২ অক্টোবর গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের কন্যা নূরন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিন শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। মেয়ের সাথে এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থানের পর গত শুক্রবার বর কনেসহ নিজবাড়ি ফেরেন। এর মধ্যেই জামাই-শাশূড়ির সখ্যতা গড়ে উঠে । যার ফলশ্রুতিতে এমন ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে সকলে ।
বিস্তারিত জানা গেছে যে , সকালে নূরন্নাহার বরের সাথে সংসার করবেন না বলে বায়না ধরেন। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম তখন নূরন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সংসার করবেন বলে জানান। এমতাবস্থায় অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমাণ্যরা সালিশী বৈঠকে বসেন।আর এই অপরাধে জামাই এবং শাশুড়ি কে গ্রাম্য সালিসে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অপরদিকে শাশূড়িকে শুশুরের কাছ থেকে তালাক এবং কণেকে তালাকের পর এই চাঞ্চল্যকর বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে যানা যায় । আর এই ঘটনা নাকি ঘটেছে দুই পরিবারের সন্মতিতেই । শ্বশুর নূর ইসলামের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।